কনডোম নিয়ে এই চারটি কাজ কখনই নয়!
কনডোম নিয়ে আমাদের বিভিন্ন ধারণাকে নিয়ে সরব হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ, মার্কিন দেশের যৌনসক্ষম নাগরিকদের মধ্যে প্রচলিত কয়েকটি ধারণা ও প্রবণতাকে নিয়ে সরব হয়েছেন এই সংস্থার বিজ্ঞানীরা। টুইটে তাঁরা জানিয়েছেন, লোকে এই কাজগুলি করে বলেই তাঁরা সাবধান হতে বলছেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের মতো দেশেও কনডোম নিয়ে বিস্তর ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত রয়েছে। এই ধারণাগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিপজ্জনক। যৌন রোগের সংক্রমণ রুখতে এবং সুস্থ যৌনজীবন যাপন করতে সেন্টার ফর ডিজিজেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর বিজ্ঞানীরা কনডোম নিয়ে চারটি কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁদের মতে এই চারটি পরামর্শ মানলে এইচআইভি, জিকা, ইবোলা-র মতো রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাঁদের মতে,
• কনডোম কখনই পার্স, মানিব্যাগ বা ওয়ালেটে রাখবেন না। পকেটে রাখা পার্স বা মানিব্যাগের গরমে এবং ঘষা লেগে কনডোম নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মনে রাখা দরকার, অতিরিক্ত তাপ ও ঘষাঘষি কনডোমের শত্রু। এতে কনডোমের কার্যকারিতা বিনষ্ট হয়।
• বেবি অয়েল, পেট্রোলিয়াম জেলি বা অন্য লুব্রিক্যান্ট সহযোগে কনডোম ব্যবহার কখনই নয়। কনডোমের নিজস্ব পিচ্ছিলতা এতে নষ্ট হয়। সেই সঙ্গে তার ল্যাটেক্সও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে তার যৌন রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বিনষ্ট হয়।
• অনেকেই অতিরিক্ত নিরাপত্তা ঘটবে ভেবে একসঙ্গে একাধিক কনডোম ব্যবহার করেন। এটি একেবারেই এক ভ্রান্ত ধারণা। দু’টি কন্ডোমে ঘষা লেগে দু’টির কার্যকারিতাই নষ্ট হয়।
• কন্ডোম ধুয়ে পুনর্ব্যবহার একেবারেই ঠিক কাজ নয়। এতে কনডোমটি পুরোপুরিই বিনষ্ট হয়। নষ্ট হয়ে যাওয়া কনডোমের পক্ষে গর্ভাধান রোধ বা যৌন রোগের সংক্রমণ রোধ— কোনওটিই সম্ভব নয়।
সিলিকা ব্যাগ কী কী কাজে লাগে?
সিলিকা ব্যাগ সংরক্ষণ করুন এগুলো দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে লাগে।
সিলিকা (আগ্নেয় ধাতব পদার্থবিশেষ) সর্বসাধারণের কাছে খুব বেশি পরিচিত না। তবে সিলিকার তৈরি ব্যাগ সম্বন্ধে কম-বেশি সবাই জানে। যেকোনো পণ্য কেনার পর দেখবেন এর মধ্যে ছোট একটি ব্যাগ আছে। কেনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যাগটি ফেলে দেই। অথচ ওই ছোট্ট সিলিকা ব্যাগটি আপনার পছন্দের পণ্যটিকে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে। কারণ এটি বাতাসের আর্দ্রতা শোষণ করে। আর এই ব্যাগের ওপর বড় করে লেখা থাকে ‘ডু নট ইট’ অর্থ্যাৎ ‘দয়া করে খাবেন না’।
এখন থেকে কোনো পণ্যের মধ্যে এই ব্যাগ পেলে ভুলেও ফেলে দেবেন না। কারণ সিলিকা ব্যাগ দৈনন্দিন জীবনে আরো অনেক কাজে ব্যবহৃত হয়, যার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইনডিপেনডেন্টে। আপনি চাইলে এই পরামর্শগুলো একবার দেখে নিতে পারেন-
Advertisement
পানিতে ফোন পরে গেলে সেটা আর ফিরে পাওয়ার কোনো আশাই থাকে না। কিন্তু সিলিকা ব্যাগ সে আশা জিইয়ে রাখে। একটি বাটির মধ্যে অনেকগুলো সিলিকা ব্যাগ রেখে এর মধ্যে পানিতে ভেজা ফোনটি রেখে দিন। দেখবেন, ফোনের সব পানি শুকিয়ে যাবে এবং ফোনটি নষ্ট হওয়া থেকে বেঁচে যাবে।
পাউডার ধরনের মেকআপের (কমপ্যাক্ট পাউডার, আইশ্যাডো, ফেস পাউডার) মধ্যে একটা-দুইটা সিলিকা ব্যাগ রেখে দিন। এতে এগুলো বহুদিন ভালো থাকবে।
অনেক সময় বৃষ্টিতে ভেজার পর ছাতা ব্যাগে রাখা সম্ভব হয় না। আবার বাইরে রাখলে হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। এ ক্ষেত্রে ছাতার প্যাকেটের মধ্যে কয়েকটি সিলিকা ব্যাগ রেখে ছাতাটা ঢুকিয়ে রাখুন। দেখবেন, খুব কম সময়ের মধ্যে ছাতাটা শুকিয়ে যাবে।
ভেজা জুতাকে দ্রুত শুকিয়ে ফেলে সিলিকা ব্যাগ। এমনকি জুতার স্যাঁতস্যাতে ভাবও দূর হয় সহজেই।
স্টিলের কাটলারি সেট খুব পরিষ্কার করে সিলিকা ব্যাগ। এই ব্যাগ দিয়ে পরিষ্কার করলে কাটলারি সেটে মরিচা ধরে না।
অনেকদিন ব্যবহারের পর তোয়ালে যখন তুলে রাখবেন তখন এর ভাজে ভাজে সিলিকা ব্যাগ দিয়ে রাখবেন। কয়েকদিন পর দেখবেন এটি নতুনের মতোই সতেজ রয়েছে।
জিমে গেলে ঘামের কারণে পোশাক ভিজে যায়। এগুলো যখন ব্যাগে করে আনা হয় তখন গন্ধ হয়ে যায়। জিমের এই ব্যাগে কয়েকটি সিলিকা ব্যাগ ছড়িয়ে রাখুন। ভেজা পোশাকে আর গন্ধ হবে না।
পুরোনো ছবিগুলো নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে চাইলে ছবির ভাজে ভাজে সিলিকা ব্যাগ রেখে দিন। এভাবে দীর্ঘদিন ছবি ভালো থাকবে।
গয়না ভালো রাখতে চাইলে গয়নার বাক্সের মধ্যে কয়েকটি সিলিকা ব্যাগ ছড়িয়ে রাখুন।
এফ আর খান: আইনস্টাইন অব স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং।
এফ আর খান, ফজলুর রহমান খান, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং
২০০৯ সাল। কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বললেন, ‘আমরা শ্রদ্ধা জানাই এক বাঙালি প্রকৌশলীকে। তাঁর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। কারণ আমাদের দেশের সর্বোচ্চ আকাশচুম্বী ভবনটি তাঁরই নকশা করা।’ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যাঁকে কৃতজ্ঞ চিত্তে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তিনি ড. ফজলুর রহমান খান (এফ আর খান)।
১১০ তলা উঁচু সিয়ারস টাওয়ার (১৬ জুন, ২০০৯ থেকে পরিবর্তিত নাম উইলিস টাওয়ার) ছিল ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন। এবং এখনো আমেরিকার সর্বোচ্চ ভবন সেটিই। মূল ফটকে বাংলায় লেখা ‘স্বাগত -’, সাথে আর এফ আর খানের একটা ছবি। ১৯৬৯ সালের কথা, বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ খুচরা বিক্রেতা কোম্পানি তখন ‘সিয়ারস অ্যান্ড কোম্পানি’।
তাদের কর্মচারীর সংখ্যা ছিল তিন লাখ ৫০ হাজার। তারা চাচ্ছিলেন, তাদের সকল কাজকর্মের কেন্দ্রস্থল হবে একটি ভবনেই, সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত হবে এই একটি ভবন থেকেই, কাজগুলো সম্পন্নও হবে এখানেই। এ জন্য প্রয়োজন সম্পূর্ণ নতুন এক ধরনের স্থাপত্যকৌশল, যা একই সাথে নির্মাণশৈলীর পাশাপাশি স্থান সংকুলানসহ অন্যান্য চাহিদা পূরণে সক্ষম! অনেক অনুসন্ধানের পর তারা খোঁজ পেলেন আমেরিকার বিখ্যাত ও প্রচণ্ড প্রকৌশলী ফজলুর রহমান খানের।
যার কারণে সারা পৃথিবীতেই স্থাপত্য শিল্পে বিরাট এক দিগন্তের সূচনা হয়েছিলো, নতুন ভূখন্ডের আবিষ্কারের সাথে সাথে যেমন অপার সম্ভবনা এবং অসংখ্য নতুন নতুন দিক উন্মোচিত হয়, তেমনি স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পুরনো কাঠামোই পুরো বদলে দিয়েছিলেন ওই তরুণ। গতানুগতিক পদ্ধতির বাইরে যেয়ে তিনি আকাশচুম্বী ভবন বানানোর পদ্ধতি আবিস্কার করেন এবং তিনি সফলও হন। তাঁর যুগান্তকারী এ থিওরীর নাম টিউব স্ট্রাকচারাল সিস্টেম ।
১৯৬০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আকাশচুম্বী সুউচ্চ ভবনগুলো তার টিউব স্ট্রাকচারাল সিস্টেমকে অনুসরন করেই বানানো। ১৯৬০-১৯৭০ সালের মধ্যেই তিনি বিখ্যাত হয়ে যান তার যুগান্তকারী সৃষ্টি গুলির জন্য। উইলিস টাওয়ারের অদূরেই হ্যানকক ভবন, উচ্চতায় শততলা। সেই স্থাপনার সঙ্গেও জড়িয়ে আছে এফ আর খানের নাম। তিনি ছিলেন গগণস্পর্শী স্থাপনা শিল্পের পথিকৃৎ।
দাম্পত্য জীবনে যৌনতায় সন্তুষ্টি পেতে ৮ টিপস!
দাম্পত্য জীবনে যৌনতায় সন্তুষ্টি পেতে ৮ টিপস!
যৌনতায় ফোরপ্লে খুব জরুরী একটি ব্যাপার। মেয়েরা খুব গভীরভাবে প্রেমে না পড়লে যৌন সম্পর্কে শতভাগ আনন্দ উপভোগ করতে পারে না!
কেবল কাগজে দুটি সই বা সামাজিক স্বীকৃতি পেয়ে গেলেই দাম্পত্য হয় না। দাম্পত্যে চাই শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা, পরস্পরের সাথে জীবন বিনিময় করার আন্তরিক ইচ্ছা। একই সাথে, সুখী ও সুস্থ দাম্পত্য জীবনের অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছে যৌনতা বা যৌনতায় সন্তুষ্টি। কেবল সন্তান জন্ম দেয়াই যৌনতার কাজ নয়, বরং জীবন সঙ্গীকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তুলতেও ভূমিকা রাখে শারীরিক ভালোবাসা। স্বামী বা স্ত্রী যখন পরস্পরের সাথে যৌনতায় সন্তুষ্ট থাকেন না, তখনই দাম্পত্যে আসে ভাটার টান। সেই ভাটার টানে একসময়ে ভেসে যায় ভালোবাসা, রয়ে যায় কেবলই কলহ ও অসন্তুষ্টি। আর সেই সুযোগে উপস্থিত হয় পরকীয়া কিংবা ডিভোর্সও।
দাম্পত্য যৌনতা নিয়ে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন কিন্তু বলতে পারছেন না কাউকে, এমন সমস্যায় ভুগছেন হয়তো অনেকেই। এই ফিচারটি দাম্পত্য যৌনতার সেই সমস্যাগুলো সমাধানই তুলে ধরবে।
স্বচ্ছ ধারণা
যৌন জীবনে সুখী হবার জন্য প্রথমেই খতিয়ে দেখতে হবে দুজনের কারো এসব ব্যাপারে অজ্ঞতা আছে কিনা। কেননা অজ্ঞতা বা ভ্রান্ত ধারণা এমন কিছু প্রত্যাশার জন্ম দেয় যা বাস্তবে অসম্ভব। আর এটা তখনই সম্ভব যখন যৌনতা সম্পর্কে থাকবে স্বচ্ছ জ্ঞান। অনেকেই পর্ন ছবিকে যৌন জ্ঞানের উৎস মনে করেন যা অত্যন্ত ভুল ধারণা। বাস্তব জীবনে কেউই পর্ন ছবির তারকা নয় , বাস্তব জীবনের যৌনতাও পর্ন ছবির মত নয়। তাই ভ্রান্ত ধারণা বাদ দিয়ে চেষ্টা করুন যৌনতার ব্যাপারে সঠিক ও স্বচ্ছ ধারণা রাখতে।
বুঝতে চেষ্টা করুন কেন দুজনের মিলছে না
যৌনতার ব্যাপারটি পোশাকের মতন। এক পোশাক যেমন সকলের গায়ে লাগে না, তেমনই সবার সাথে সবার যৌন চাহিদাগুলো মিলবে ব্যাপারটি তেমন নয়। এমন হতেই পারে যে দুজন মানুষ সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও যৌন জীবনে সুখী হতে পারছেন না। এর মূল কারণ হচ্ছে দুজনের পছন্দ-অপছন্দ আলাদা হওয়া। তাই প্রথমেই খুঁজে বের করতে হবে অমিলগুলো কোথায়।
পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হোক
জানতে হবে সঙ্গী পছন্দ-অপছন্দ, নিজেরগুলোও জানাতে হবে। মানুষের শরীর বাদ্যযন্ত্রের মত,এর থেকে সুর সৃষ্টি করতে চাই সাধনা ও ধৈর্য। ভালোবাসায় যৌনতা একটি সুন্দর ব্যাপার, কিন্তু সেই সৌন্দর্য কতজনে বুঝতে পারেন বা অনুভব করতে পারেন? অনুভব সম্ভব, যখন খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে পরস্পরের পছন্দগুলো জেনে নেবেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করবেন। একইসাথে অপছন্দের ব্যাপারগুলো এড়িয়ে যাবেন দুজনেই।
একটু এডভেঞ্চার নিয়ে আসুন জীবন
খুব আকর্ষণীয় একটি ব্যাপারও যদি রোজ রোজ একই রকম থাকে, তবে একঘেয়ে হয়ে যায়। যৌনতার ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটি একদম সত্য। একই স্থানে, একই ভাবে, একই রকম যৌনতায় মানুষের বিরক্তি চলে আসে। এমন সময়ে প্রয়োজন একটু ভিন্নধর্মী ভাবনা। নতুন জায়গায় বেড়াতে যাওয়া, নানান রকম পজিশন চেষ্টা করা, সেক্স টয়ের ব্যবহার বা এমন অনেক কিছুই যা দুজনে পছন্দ করেন।
বাচ্চা নেয়ার চাপ থেকে নিজেদের মুক্ত করুন
দাম্পত্য যৌনতাকে কখনোই আপনি উপভোগ করতে পারবেন না, যখন মাথায় থাকবে সন্তান নেয়ার চাপ। কেবল সন্তান নেয়ার জন্যেই যৌনতা নয়, এটা ভালোভাবে মনে রাখতে হবে। প্রথমে পরস্পরকে আবিষ্কার করুন, পরস্পরের সঙ্গ কিছুদিন উপভোগ করুন। তারপর সময়-সুযোগ বুঝে সন্তানের পরিকল্পনা করুন।
প্রেম গভীর হবার সময় দিন
যৌনতা ব্যাপারটি কেবল শারীরিক নয়, বরং অনেক বেশি মানসিক। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে। স্বাভাবিক ক্ষেত্রে মেয়েরা খুব গভীরভাবে কারো প্রেমে না জড়িয়ে গেলে তার সাথে আনন্দময় যৌন সম্পর্ক উপভোগ করতে পারে না। তাই দাম্পত্যে যৌনতা আনন্দময় করতে প্রেমকে উপভোগ করুন। মনের প্রেম থেকে ধীরে ধীরে শরীরে পৌঁছান।
ফোরপ্লে হোক রোমান্টিক
যৌনতায় ফোরপ্লে খুব জরুরী একটি ব্যাপার। বেশীরভাগ দম্পতির ক্ষেত্রেই এই ব্যাপারটি নেই বা থাকলেও অল্প কয়েক মিনিটে ফুরিয়ে যায়। ফোরপ্লে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে কিছু মধুর মুহূর্তের জন্য। সঙ্গীকে আদর করার পাশাপাশি তার প্রশংসাও করুন। এই ব্যাপারটি চর্চা করার মত, শিখে নিলে ঠকবেন না।
চিকিৎসক বা কাউন্সিলারের পরামর্শ নিন
নিজেদের চেষ্টায় যদি কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ না হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে লজ্জা করলে চলবে না। শারীরিক- মানসিক সমস্যা সমাধানে চিকিৎসক হতে পারেন পরম বন্ধু।
যৌনতা কোন ট্যাবু নয়, জীবনের অতি পুরাতন একটি ব্যাপার। যৌনতাকে লজ্জা না পেয়ে শেখার চেষ্টা করুন, দাম্পত্য হয়ে উঠবে সুন্দর।
লজ্জা নয় জানতে হবে।ভাল লাগলে অবশ্যই মন্তব্য করবেন।
প্রাচীন সীমানা পিলার এর দাম কোটি-কোটি টাকা হয়ে থাকে কেন?
প্রাচীন সীমানা পিলার এর দাম কোটি-কোটি টাকা হয়ে থাকে কেন?
এদেশে বৃটিশদের শাষনের সময়কালে এই পিলারগুলো ফ্রিকুয়েন্সি অনুযায়ী একটি থেকে আরেকটির দুরত্ব মেপে মাটির নীচে পুতে রাখা হয়েছিলো। যেগুলোর মধ্যে পিতল, তামা, লোহা, টাইটেনিয়মসহ ধাতব চুম্বক সমন্বয়ে গঠিত হওয়ার কারনে বজ্রপাত হবার সময়ে ইলেকট্রিক চার্য তৈরী হয় সেটি সরাসরি এই পিলারগুলো এবজর্ভ করে আর্থিংএর কাজ করতো।
এতে বজ্রপাত হতো কিন্তু মানুষ মারা যেতোনা। অসাধু কিছু লোক এই পিলারগুলো অনেক দামে বিক্রি করা যায় এরকম গুযব এর কারনে দেশের বিভিন্ন যায়গা থেকে এগলো তুলে ফেলেছে। কিছু লোক এগলোকে সিমান্ত পিলার নামে আক্ষায়িত করে এটি মহামুল্যবান বলে অপপ্রচারের কারনে খুজে খুঁজে এগুলোকে বের করে চুরি করে নিয়ে গেছে।
ইন্ডিয়া বাংলাদেশ সিমান্ত এলাকাতে প্রাথমিক ভাবে কিছু পাওয়ার কারনে একে সিমান্ত পিলার ও বলা শুরু হয় আর এর মধ্যে থাকা তামা পিতল, টাইটেনিয়াম জাতীয় ধাতবের সমন্বয়ে তৈরী বিদ্যুৎ সুপরিবাহি হয়ওয়াতে একে মহামুল্যবান বলে অপপ্রচারের ফলে এসব পিলার চুরি হতে থাকে।
মুলত বৃটিশ শাষন আমলে বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য এই প্রযুক্তির পিলার গুলো সারা দেশ জুরেই মাটির নিচে পুতে রাখা হয়েছিল একটি নিদ্রিষ্ট দুরত্ব পর পর ফ্রিকুয়েন্সি মেপে মেপে। এখন যেমন মোবাইল ফোনের টাউয়ার বসানোর সময় একটা থেকে আরেকটার দুরত্ব আর ফ্রিকুয়েন্সি মেপে ম্যাপ করে বসানো হয় ।
আমাদের গ্রামের নাম ধুবরিয়া, টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানায় আমি আমার বয়সে আগে কখনও শুনিনি বজ্রপাতে আমাদের গ্রামে তেমন কাউকে মারা যেতে যেটি এখন এতটা বেরে গেছে যে মানুষ রিতিমতো চিন্তায় পরে গেছে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা দেখে। আমাদের গ্রামে গত ৬/৭ বছর আগে এরকম তিনটি পিলারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিলো পরে এগলো সেখান থেকে কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়।
শেষের পিলারটি চুরি হয় ২ বছর আগে। এর পর থেকেই শুধুমাত্র থানা এরিয়াতে বজ্রপাতে মারা যাওয়ার সংখ্যা ১১ জন। আমাদের গ্রামের আছে চারজন এই বছরে। এখন সবাই বুঝতে পারছে কেন বৃটিশ আমলে এগলো অকটি নিদ্রিষ্ট দুরত্বে মাটির নিচে পুতে রাখা হয়েছিলো। এগলো চুরি হবার পর সবাই বুঝতে পারছে কি সর্বনাশ হয়েগেছে এগলো তুলেফেলার কারনে।
এরকম আরো একটি মিথ্যে প্রবাকান্ডা হচ্ছে তক্ষক নিয়ে। তক্ষক বরো সাইজের ধরতে পারলে সেটাকে নাকি অনেক টাকায় বিক্রি করা যায়।
মানুষ তক্ষক ধরে ধরে নিধন করে চলেছে। যাক সেকথা এখন বজ্রপাত রোধের জন্য দেখতে হবে সরকারি উদ্দোগে এধরনের কোন কিছু নতুন করে স্থাপন করা যায় কিনা যেটির ফলে ইলেক্ট্রিক চার্জ বা বজ্রপাতের প্রভাব যেখানে সেখানে না পরে এধরনের কিছুতে টেনে নেবে। মানুষের জীবন বাচবে।
তক্ষকের দাম কেন লাখ লাখ টাকা!জানলে অবাক হবেন
তক্ষকের দাম কেন লাখ লাখ টাকা!
টিবিটি বিচিত্র জগত: কচ্ছপের হাড় পাচারকারীদের হাত ধরেই পশ্চিমবঙ্গের মালদহকে করিডর বানিয়ে বাংলাদেশ থেকে চীন, সিঙ্গাপুর চলে যাচ্ছে তক্ষক। ডুয়ার্স তথা উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে কড়াকড়ির জেরে মালদহকে গ্রিন করিডর বানিয়ে কোটি কোটি ডলারের ব্যবসা করছে তক্ষক পাচারকারীরা। বিএসএফের গোয়েন্দাবাহিনী ও বনদপ্তর সূত্রে এমন তথ্যই মিলেছে। চীনের পরম্পরাগত ওষুধ নির্মাতাদের বিশ্বাস, তক্ষক তথা গেকোর শরীরে চিরযৌবন এবং প্রজনন শক্তিবর্ধক ক্ষমতা থাকে। ফলত গ্রামবাংলার জঙ্গলে টিকিটিকির মতো প্রাণীটি লক্ষ লক্ষ টাকায় চীন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। প্রায় একই কারণে ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে কচ্ছপের হাড় বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে। বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর দেহাংশ পাচারে মালদহ করিডর হয়ে ওঠায় বিএসএফ এবং বনদপ্তরের কর্তারা যথেষ্টই উদ্বিগ্ন।
বিএসএফের আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) রাজেশ মিশ্র বলেন, প্রাণীপাচার রুখতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। বনদপ্তর ও একাধিক নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে এনিয়ে মিলিতভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ করা হচ্ছে। মালদহের ডিএফও কৌশিক সরকার বলেন, একাধিক ঘটনায় প্রমাণ মিলেছে বাংলাদেশ থেকে তক্ষক আসছে। আমরা পাচারচক্র সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অনুসন্ধান করছি। এসব প্রতিরোধ করতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
টিকিটিকির মতো ছোট প্রাণীটি রংবেরঙের দেখতে হয়। অসমিয়া ভাষায় একে তক্ষক বলা হয়। বাংলাতেও সেই নামে পরিচিত। একদা ডুয়ার্সের জঙ্গল থেকে দেদার পাচার হয়ে গিয়েছে এই প্রাণীটি। একে ঘিরে চীন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর সহ বেশকিছু দেশে অদ্ভুত রহস্যময় কিছু বিশ্বাস জড়িয়ে আছে। চীন দেশে মনে করা হয় গোকো বা তক্ষক ড্রাগন থেকে উৎপন্ন হয়েছে। তাই এতে চিরযৌবন ও প্রজনন ক্ষমতাবর্ধক শক্তি থাকে। চীনের পরাম্পরা চিকিৎসা ব্যবস্থায় তাই গেকোকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
জিনসেং নামে একটি ঔষধি গাছের সঙ্গে তক্ষককে জুস করে খাওয়া হয়। এই বিশ্বাসের জেরে চীন, সিঙ্গাপুরের মতো দেশে একেকটি পূর্ণবয়স্ক তক্ষক ১০-১৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়। ডুয়ার্স, আসামের জঙ্গল থেকে এই প্রাণী পাচারে কড়াকড়ি তৈরি হওয়ায় এবার পাচারকারীদের নজর বাংলাদেশের জঙ্গলের দিকে পড়েছে। বাংলার জঙ্গলেও এই তক্ষক প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। সেখান থেকেই এই তক্ষক সংগ্রহ করে মালদহকে করিডর করে চীনে পাঠিয়ে দিচ্ছে পাচারকারীরা।
সম্প্রতি মালদহে দু’টি ঘটনায় পাঁচটি পূর্ণবয়স্ক গেকো বিএসএফ এবং বনদপ্তরের যৌথ অভিযানে ধরা পড়ে। তারপরেই তদন্তে উঠে আসে নতুন করিডরের তথ্য। বনদপ্তর ও বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে কালিয়াচক, হবিবপুর, পুরাতন মালদহের সীমানা দিয়ে তক্ষক মালদহে চলে আসছে। তারপর ট্রেন বা সড়ক পথে কলকাতা হয়ে ড্রাগনের দেশে সেগুলি পাড়ি দিচ্ছে। এই পাচারচক্রের সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে উঠে এসেছে আরো কিছু তথ্য।
সম্প্রতি মালদহ সীমান্তকে ব্যবহার করে বারবার কচ্ছপের হাড় বাংলাদেশে পাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাংলাদেশের স্থানীয় চিকিৎসকদের একাংশের প্রচার কচ্ছপের হাড়ে বলবর্ধক ক্ষমতা থাকে। আর সেই প্রচারের জেরে বাংলাদেশে এখন কচ্ছপের হাড় বহুমূল্য হয়েছে। তক্ষক ও কচ্ছপ উভয়ের ক্ষেত্রেই জনবিশ্বাসের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি মেলেনি। কিন্তু কচ্ছপের হাড় পাচারের সূত্র ধরেই বাংলাদেশ থেকে তক্ষক আমদানি করে একশ্রেণীর পাচারকারী ফুলেফেঁপে উঠছে। গোয়েন্দাদের দাবি, এই পারস্পারিক পাচারের ক্ষেত্রে মালদহকে গ্রিন করিডর বানিয়েছে চোরকারবারিরা।
জেএসসির নতুন মান বন্টন: বাংলা-ইংরেজির কোন অংশে কত নম্বর
জেএসসির নতুন মান বন্টন: বাংলা-ইংরেজির কোন অংশে কত নম্বর
চলতি বছর থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় ২০০ নম্বর কমেছে। কিন্তু চতুর্থ বিষয়ের ১০০ নম্বর বাদ যাওয়ায় সেটা নিয়ে কারো খুব একটা চিন্তা নেই। কিন্তু বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে কমানো হয়েছে আরো ১০০ নম্বর। এই ১০০ নম্বরের নতুন মানবন্টন নিয়ে খুবই চিন্তিত শিক্ষার্থী । কী থাকবে আর কী থাকবে না, কেউ বলতে পারছে না। এনসিটিবি আগামী সপ্তাহে নতুন মানবন্টন প্রকাশ করবে।
তবে এডুকেশন বাংলা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছে নতুন মানবন্টন কীভাবে হবে? বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে অনুষ্ঠিত এনসিসিসি’র সভায় উপস্থিত সদস্যদের কাছ থেকে এ বিষয়ে বেশকিছু তথ্য জানা গেছে। কীভাবে হবে বাংলা ও ইংরেজির মানবন্টন, তা পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো।
ইংরেজি দুইপত্র মিলে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এরমধ্যে গ্রামার অংশ থেকে ৩০ নম্বর, আনসিন অংশ ২০, রাইটিং অংশ থেকে ৩০ নম্বরের ও রিডিং টেস্ট (সিন প্যাসেজ) থেকে ২০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
বাংলা দুইপত্রে মিলিয়ে এ বছর থেকে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে এমসিকিউ ৩০, সিকিউ ৭০ নম্বরের। এমসিকিউ ৩০ নম্বরের মধ্যে গদ্য ও পদ্যাংশ থেকে আটটি করে এবং ব্যাকরণ অংশ থেকে ১৪টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে এক নম্বরের অর্থাৎ মোট ৩০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হবে। সিকিউ ৭০ নম্বরের মধ্যে বাংলা প্রথম পত্র থেকে ৪০ নম্বরের এবং দ্বিতীয় পত্র থেকে ৩০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রথম পত্রের গদ্যাংশ (গল্প) থেকে চারটি প্রশ্ন থাকবে দুটি লিখতে হবে। আর পদাংশ (কবিতা) থেকে তিনটি প্রশ্ন থাকবে দুটি লিখতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে ১০ নম্বর করে। আর দ্বিতীয় পত্রে রচনা ১৫, সারাংশ ৫, চিঠি ৫ ও ভাবসম্পসারণ ৫ নম্বর করে মোট ৩০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
জেএসসি-জেডিসিতে এতদিন বাংলা ও ইংরেজির দুটি করে পত্রে ১৫০ করে নম্বরের পরীক্ষা হতো। এখন বাংলা ও ইংরেজিতে আর আলাদা পত্র থাকবে না। একেকটি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এছাড়া জেএসসি-জেডিসির চতুর্থ বিষয়ের (গার্হস্থ অর্থনীতি/কৃষি) পরীক্ষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে। জিপিএ নির্ধারণের ক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।
জানা যায়, আগামী সপ্তাহেই এনসিটিবি থেকে বিস্তারিত নম্বর বন্টন প্রকাশ করা হবে।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। সভা শেষে তিনি বলেন, জেএসসিতে এখন ৮৫০ নম্বরের পরিবর্তে ৬৫০ নম্বর এবং জেডিসিতে ১০৫০ নম্বরের পরিবর্তে ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে চাপ কমাতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, বুয়েটের সাবেক শিক্ষক ইনামুল হক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহারিচালক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক, অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন, জাবেদ আহমেদ, অরুণা বিশ্বাস, রওনক মাহমুদ, যুগ্মসচিব সালমা জাহান, এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) মো. মশিউজ্জামান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ৮ মে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি জেএসসি ও জেডিসিতে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা কমাতে প্রস্তাব করেছিলো। তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাযের নিয়ম! জেনে নিন ঈদের আগে.....
ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাযের নিয়ম
বছরে মাত্র দু'বার ঈদের নামাজ, তাই এ নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে অনেককেই জটিলতায় পড়তে হয়। নামাজে দাঁড়িয়ে ডানে-বামে চুপিসারে তাকিয়ে নামাজ শেষ করতে হয়। ফলে অনেকেরই ঈদের নামাজ হয় না। কিন্তু এই নিয়মগুলো যদি একটু মনে রাখেন, তবে শুদ্ধভাবে ঈদের নামাজ পড়তে আর সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
কোনো নামাজের নিয়তই আরবিতে করা জরুরি নয়। যে কোনো ভাষায় নামাজের নিয়ত করা যায়। নিয়ত মনে মনে করাই যথেষ্ট।
ঈদের দিন ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে মনে মনে নিয়ত এভাবে করলেই চলবে_ 'আমি অতিরিক্ত ছয় তাকবিরসহ এই ইমামের পেছনে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করছি।'
এরপর উভয় হাত কান বরাবর উঠিয়ে 'আল্লাহু আকবার' বলে হাত বাঁধতে হবে।
হাত বাঁধার পর ছানা অর্থাৎ 'সুবহানাকা আল্লাহুম্মা...' শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
এরপর আল্লাহু আকবার বলে হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে।
দ্বিতীয়বারও একই নিয়মে তাকবির বলে হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে।
তৃতীয়বার তাকবির বলে হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে ছেড়ে না দিয়ে হাত বেঁধে রাখতে হবে।
ঈমাম সাহেব সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য যে কোনো সূরা তেলাওয়াত করবেন। এ সময় মুক্তাদিদের নীরবে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
ইমাম সাহেব নিয়মমতো রুকু-সিজদা সেরে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াবেন। মুক্তাদিদেরও ইমামকে অনুসরণ করতে হবে।
দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম সাহেব প্রথমে সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য সূরা পড়বেন।
এরপর আগের মতো তিন তাকবির বলতে হবে। প্রতি তাকবিরের সময়ই উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে।
চতুর্থ তাকবির বলে হাত না উঠিয়েই রুকুতে চলে যেতে হবে। এরপর নামাজের অন্যান্য নিয়মেই ঈদের নামাজ শেষ করে সালাম ফেরাতে হবে।
ঈদুল ফিতরের কিছু সুন্নত আমল
* খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা
* মিসওয়াক করা
* গোসল করা
* সামর্থ্য অনুযায়ী উত্তম পোশাক পরিধান করা
* সুগন্ধি ব্যবহার করা
* নামাজের আগে ফিতরা আদায় করা
* নামাজের আগেই মিষ্টান্নজাতীয় খাবার খাওয়া
* বেজোড়সংখ্যক খেজুর-খুরমা খাওয়া
* ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া
* এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া এবং অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা
* সকাল সকাল ঈদের নামাজ পড়ার জন্য বের হওয়া
* ঈদের নামাজ ঈদগাহে গিয়ে পড়া; সম্ভব না হলে পাড়া বা মহল্লার মসজিদে গিয়ে পড়া
* ঈদুল ফিতরে নিচু আওয়াজে তাকবির পড়তে পড়তে ঈদগাহে যাওয়া [ তাকবির হলো_ 'আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।'।
ঈদুল আযহার নামাযের নিয়ম ঠিক ঈদুল ফিতরের নামাযেরই অনুরূপ এবং যেসব কাজ ওখানে সুন্নত সেসব এখানেও সুন্নত। পার্থক্য শুধু এই যে,
* নিয়তের মধ্যে ঈদুল ফিতরের পরিবর্তে ঈদুল আযহা বলবে।
* ঈদুল ফিতরের দিন কিছু খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া সুন্নত কিন্তু ঈদুল আযহার দিনে খেয়ে যাওয়া সুন্নত নয় (বরং ঈদুল আযহার নামাযের পূর্বে কিছু না খেয়ে যাওয়াই মুস্তাহাব)।
* ঈদুল আযহার দিনে ঈদগাহে যাওয়ার সময় উচ্চস্বরে তাকবীর পড়া সুন্নত। ঈদুল ফিতরে আস্তে পড়া সুন্নত।
* ঈদুল আযহার নামায ঈদুল ফিতর অপেক্ষা অধিক সকালে পড়া সুন্নত।
* ঈদুল ফিতরে নামাযের পূর্বে সদকায়ে ফিতরা দেয়ার হুকুম, ঈদুল আযহার নামাযের পর সক্ষম ব্যক্তির জন্য কুরবানী করার হুকুম।