জেএসসির নতুন মান বন্টন: বাংলা-ইংরেজির কোন অংশে কত নম্বর

জেএসসির নতুন মান বন্টন: বাংলা-ইংরেজির কোন অংশে কত নম্বর চলতি বছর থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় ২০০ নম্বর কমেছে। কিন্তু চতুর্থ বিষয়ের ১০০ নম্বর বাদ যাওয়ায় সেটা নিয়ে কারো খুব একটা চিন্তা নেই। কিন্তু বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে কমানো হয়েছে আরো ১০০ নম্বর। এই ১০০ নম্বরের নতুন মানবন্টন নিয়ে খুবই চিন্তিত শিক্ষার্থী । কী থাকবে আর কী থাকবে না, কেউ বলতে পারছে না। এনসিটিবি আগামী সপ্তাহে নতুন মানবন্টন প্রকাশ করবে। তবে এডুকেশন বাংলা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছে নতুন মানবন্টন কীভাবে হবে? বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে অনুষ্ঠিত এনসিসিসি’র সভায় উপস্থিত সদস্যদের কাছ থেকে এ বিষয়ে বেশকিছু তথ্য জানা গেছে। কীভাবে হবে বাংলা ও ইংরেজির মানবন্টন, তা পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো। ইংরেজি দুইপত্র মিলে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এরমধ্যে গ্রামার অংশ থেকে ৩০ নম্বর, আনসিন অংশ ২০, রাইটিং অংশ থেকে ৩০ নম্বরের ও রিডিং টেস্ট (সিন প্যাসেজ) থেকে ২০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। বাংলা দুইপত্রে মিলিয়ে এ বছর থেকে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে এমসিকিউ ৩০, সিকিউ ৭০ নম্বরের। এমসিকিউ ৩০ নম্বরের মধ্যে গদ্য ও পদ্যাংশ থেকে আটটি করে এবং ব্যাকরণ অংশ থেকে ১৪টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে এক নম্বরের অর্থাৎ মোট ৩০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হবে। সিকিউ ৭০ নম্বরের মধ্যে বাংলা প্রথম পত্র থেকে ৪০ নম্বরের এবং দ্বিতীয় পত্র থেকে ৩০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রথম পত্রের গদ্যাংশ (গল্প) থেকে চারটি প্রশ্ন থাকবে দুটি লিখতে হবে। আর পদাংশ (কবিতা) থেকে তিনটি প্রশ্ন থাকবে দুটি লিখতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে ১০ নম্বর করে। আর দ্বিতীয় পত্রে রচনা ১৫, সারাংশ ৫, চিঠি ৫ ও ভাবসম্পসারণ ৫ নম্বর করে মোট ৩০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। জেএসসি-জেডিসিতে এতদিন বাংলা ও ইংরেজির দুটি করে পত্রে ১৫০ করে নম্বরের পরীক্ষা হতো। এখন বাংলা ও ইংরেজিতে আর আলাদা পত্র থাকবে না। একেকটি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এছাড়া জেএসসি-জেডিসির চতুর্থ বিষয়ের (গার্হস্থ অর্থনীতি/কৃষি) পরীক্ষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে। জিপিএ নির্ধারণের ক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। জানা যায়, আগামী সপ্তাহেই এনসিটিবি থেকে বিস্তারিত নম্বর বন্টন প্রকাশ করা হবে। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। সভা শেষে তিনি বলেন, জেএসসিতে এখন ৮৫০ নম্বরের পরিবর্তে ৬৫০ নম্বর এবং জেডিসিতে ১০৫০ নম্বরের পরিবর্তে ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে চাপ কমাতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, বুয়েটের সাবেক শিক্ষক ইনামুল হক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহারিচালক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক, অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন, জাবেদ আহমেদ, অরুণা বিশ্বাস, রওনক মাহমুদ, যুগ্মসচিব সালমা জাহান, এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) মো. মশিউজ্জামান প্রমুখ। প্রসঙ্গত, গত ৮ মে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি জেএসসি ও জেডিসিতে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা কমাতে প্রস্তাব করেছিলো। তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
Share this article :
 
Copyright © 2018. নির্জন বাংলা - All Rights Reserved
Template Created by নির্জন বাংলা