মোবাইল হারিয়ে ফেলেছেন? এখন মোবাইল সহ চোরকে খুজে পাওয়া মাত্র ৫ মিনিটের বিষয়
মোবাইল হারিয়ে ফেলেছেন ? এখন মোবাইল সহ চোরকে খুজে পাওয়া মাত্র ৫ মিনিটের বিষয়!! শেয়ার করে অন্য দের জানার সুযোগ করে দিন
আর হারিয়ে যাওয়া ফোনটির কথা ভেবে হতাশাগ্রস্থ আপনি? দিনে দিনে স্মার্টফোন হয়ে উঠেছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। আর প্রিয় এই ফোনটি হারিয়ে আপনি হয়তো আরেকটি ফোন কেনার চিন্তা করছেন। কিন্তু আপনার বেহাত হওয়া ফোনটিই আপনার জন্য চিন্তার কারন হয়ে দাড়াতে পারে।
অধিকাংশ মানুষের কাছেই ফোন হারানোটা কেবলই আর্থিক ক্ষতি। কিন্তু এর মাধ্যমে আপনার ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা আর নিরাপত্তাও যে ঝুকির মধ্যে পড়ে তা কি ভেবে দেখেছেন? আপনার ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন বিশেষত স্মার্টফোন আপনার হরেক তথ্য ধারন করে রাখে।
আর শুধু আপনার তথ্য কেন, আপনার কাছের অনেকের তথ্যই এতে জমা থাকে। আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনটি যার হাতেই যাক, আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত তথ্যগুলো যেমন আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত কোন ছবি, প্রয়োজনীয় ফোন নাম্বার বা আপনার লেনদেন সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য চলে যাবে আরেকজনের হাতে। যা আপনি কখনই চান না। আবার এমন কিছু সৃতিও হারাতে পারেন যা আর কখনই ফিরে পাওয়া যাবেনা।
বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সবাই নিজের ফোনটি ফিরে পেতে চায় অক্ষত ভাবে। অন্ততপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো ফেরত চায়। নাই যদি পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে সবার চাওয়া অন্তত ফোনটি যেন কেউ ব্যবহার না করতে পারে বা সংরক্ষিত তথ্যগুলো যেন মুছে ফেলা যায়।
এতে আপনার আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত আর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো বেহাত হওয়া থেকে বাঁচে। তবে আনন্দের ব্যাপার হল, ফোন হারিয়ে দুশ্চিন্তার দিন শেষ। অন্তত নিজেকে নিরুপায় ভেবে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে না।
আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোন খুজতে কিছু ত্বরিত টিপসঃ
এই টিউটোরিয়ালটি আপনাকে ধাপে ধাপে আপনার ফোনটি খুজে পেতে করণীয়গুলো দেখাবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শগুলো হল আপনার ফোনটি যদি প্রয়োজনীয় অ্যাপসমৃদ্ধ থাকে, অর্থাৎ ফোনটির অবস্থান সনাক্তকরার অ্যাপ ইন্সটল করা থাকে, সেই সাথে দূর থেকে নিয়ন্ত্রন করার মত অ্যাপ থাকে তাহলে আপনি সহজেই এর নিয়ন্ত্রন রাখতে পারবেন।
সেই সাথে হারানো ফোনটি ফিরে পেলে সহজেই তথ্য পুনরুদ্ধার সম্ভব। এক্ষেত্রে Android Device Manager বা Lookout নামের অ্যাপ দুটির সাহায্য নিতে পারেন।
Airdroid নামের অ্যাপটি ব্যাবহার করে আপনি সহজেই আপনার হারনো তথ্যগুলো ফিরে পেতে পারেন। আর এর আধুনিক ফিচারগুলো যেমন দূর নিয়ন্ত্রিত ক্যামেরা বা এসএমএস মেসেজিং ব্যাবহার করতে পারেন। স্মার্ট ওয়াচ ব্যাবহার করতে পারেন। এটি আপনার মোবাইল ফোনটির দূরে সরে না যাওয়া নিশ্চিত করবে।
আর হ্যাঁ, আমরা এটাও জানানোর চেষ্টা করব যে আপনার ফোনটি হারালে আপনি কি করতে পারেন যখন আপনি কোনভাবেই প্রস্তুত নন।
উপরের কথাগুলো শুনে কি কিছুটা ভালো লাগছে?? তাহলে দেরি না করে, চলুন শুরু করা যাক আজকের টিউটোরিয়াল।
নিশ্চিত হোন যে আপনি প্রস্তুত, পড়ে যেতে না চাইলে, পা ফেলার আগে দেখে ফেলাটা উত্তম। দাঁতের ক্ষয় না চাইলে নিয়মিত দাঁত মাজা উচিত এগুলো আমাদের প্রতিদিনের জীবনে শোনা কিছু প্রবাদ। এ বাক্যগুলই কিন্তু আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যে যেকোনো বাজে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার চেয়ে এমন কিছু করা ভালো যা আমাদের বাজে পরিস্থিতিরই সম্মুখীন করবেনা। অর্থাৎ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করাটাই শ্রেষ্ঠতর।
আপনার স্মার্ট ফোনটি যেন না হারান, সেজন্যেও একই নীতিবাক্যই প্রযোজ্য।
আসলে আপনার স্মার্টফোনটির হারানো প্রতিরোধ করতে তেমন কিছু করার নেই। তবে আপনার কমনসেন্স ব্যবহার করুন, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার আগে নিশ্চিত হোন যে আপনার ফোনটি আপনার সাথেই আছে। এর বাইরে আপনি যা করতে পারেন টা হল অ্যাপ ব্যাবহার করা, যেটা আপনাকে কিছুটা সাহাজ্য করতে পারে।
স্মার্টফোন ব্যাবহারে আপনার প্রথম কাজটি হবে মোবাইলের স্ক্রিন লক করার জন্য প্যাটার্ন বা পাসওয়ার্ড চালু করা। এটি কোনোভাবেইওয়াপ্নার ফোন হারানো রোধ করতে পারবেনা। কিন্তু হারিয়েই যদি ফেলেন, এই ভেবে অন্তত স্বস্তি পাবেন যে আপনার তথ্য গুলো অন্য কার হাতে পড়ছেনা।
কেউ কেউ হয়তবা প্রতিবার ফোন ব্যাবহারের সময় ফোন আনলক করতে গিয়ে বিরক্ত হতে পারেন। তাদের জন্য কিছু কিছু ডিভাইস এ নির্দিষ্ট সময় পর পর পাসওয়ার্ড স্বয়ংক্রিয় ভাবে চালু করার ব্যাবস্থা আছে। তাও যদি ভালো না লাগে, তাহলে আপনার জানতে হবে কিভাবে দূরবর্তী যেকোনো জায়গা থেকে আপনার মোবাইলে পাসওয়ার্ড চালু করা যায়।
আপনার মোবাইলে লক স্ক্রিন প্যাটার্ন চালু করতে Settings > Security অথবা Settings > Display > Lock Screen এ দুটি পথ অনুসরন করতে পারেন। নাহলে মোবাইলের ইউজার গাইড দেখুন।
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার চালু ও ব্যাবহার করা
আপনার হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি সনাক্ত করতে প্রথমেই আপনার যেটা করতে হবে তা হল, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি সঠিক ভাবে রেজিস্টার করা। এরপর অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারের মাধ্যমে ফোনটিতে প্রবেশ করতে পারাও নিশ্চিত করতে হবে।
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ছোট্ট একটি টুল যেটা গুগল ২০১৩ সালে মার্কেটে আনে। আর গুগল প্লে স্টোর ব্যাবহারের মাধ্যমে আধুনিক সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এটির ব্যাবহার নিশ্চিত করে।
কিছু কিছু ডিভাইসে এটি বিল্ট ইন থাকলেও আপনাকে অবশ্যই নিজে দেখে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার মোবাইলে এটি চালু অবস্থায় আছে। আর অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার চালু করতে বা চালু আছে কিনা যাচাই করতে আপনার ডিভাইসেSettings > Security and Screen Lock > Device Administrators অপশনটিতে যান।
তবে ডিভাইসভেদে কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে। এখানে গিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার চালু আছে কিনা নিশ্চিত হোন। একই সাথে আপনার ফোনের লোকেশন সেটিং টি কি অবস্থায় আছে তাও দেখুন। আর অবশ্যই নিশ্চিত হোন যে আপনার ফোনের জিপিএস ব্যাবস্থা সম্পূর্ণ চালু এবং কার্যকর অবস্থায় আছে।
যদিও আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোন সনাক্ত করতে জিপিএস জরুরী নয়, তবে এটি আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনের সঠিক অবস্থান জানাতে আপনাকে সাহায্য করবে। আর হ্যাঁ, জিপিএস চালু করে রাখলে মোটেই আপনার মোবাইলের ব্যাটারির চার্জ নষ্ট হবেনা, কারন কার্যকরী না হয়ে শুধুমাত্র জিপিএস চালু রাখতে অতিরিক্ত চার্জ খরচ হয়না।
এরপর, আপনার অ্যাপের ভিতর “Google Settings” এ যান, এরপর “Android Device Manager” অপশনটি বাছাই করুন। সেখান থেকে “Remotely locate this device” এবং “Allow remote lock and factory reset” অপশন দুটি যাচাই করুন। অপশন দুটিতে গেলেই আপনি বুঝবেন সেখানে কি করতে বলা হয়েছে।
এই লিংকটিতে, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারের ওয়েবসাইটটি পাবেন (লিংকটি কোনভাবেই ভুলবেন না। প্রয়োজনে বুকমার্ক করে রাখুন)। এর ড্যাশবোর্ডটি খুব সহেজই ব্যাবহার করা যায়। এখানে গুগল ম্যাপের মাধ্যমে আপনার ডিভাইসটির সর্বশেষ অবস্থানটি আপনাকে দেখাবে।
আপনার ফোনটি চালু এবং ইন্টারনেটের সংযোগ থাকা সাপেক্ষে একদম শেষ মুহূর্তের অবস্থানও এটি আপনাকে দেখাতে সক্ষম। আর অ্যাপটি দিয়ে আপনি আপনার ফোনে জোরে আওয়াজ করার ব্যাবস্থা করতে পারেন, যদি আপনি ভাবেন যে আপনার ফোনটি কাছাকাছি কোথাও আছে।
আর এই অ্যাপটি দিয়ে দূরে বসে আপনার ফোনটি লক করা বা যেকোনো তথ্য মুছে ফেলার কাজও করতে পারবেন। তবে তথ্য মোছার কাজটি করবেন একদম শেষ পর্যায়ে, যখন আপনার ফোনটি ফিরে পাবার আর কোন আশা থাকবেনা। কারন একবার তথ্য মুছে ফেললে আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট এর সাথে ফোনটির আর কোন সংযোগ থাকবেনা।
যেকোনো কারণে আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ব্যাবহারে সক্ষম না হন, তবে lookout অ্যাপটি ব্যাবহার করতে পারেন। এটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারের খুব চমৎকার বিকল্প। আর এটিতে বেশ সুন্দর কিছু সিকিউরিটি ফিচার আছে।
আর এর ফোন লোকেশন টুল টি অন্য যেকোনোটার থেকে কম যায়না। অ্যালার্ম দেয়া বা শব্দ করে জানানর সব সাধারন সব ব্যাবস্থাই এতে আছে। এর আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হল কেউ যদি পরপর ৫ বার আপনার লক খুলতে গিয়ে ভুল করে, এটি তখন স্বয়ংক্রিয় ভাবে ওই স্থানের ছবি তুলে আপনাকে মেইল করবে। এ সুবিধাটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারে নেই।
তবে দুরনিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে আপনার ডিভাইসটি লক করতে বা তথ্য মুছে ফেলতে আপনাকে একজন প্রিমিয়াম সাবসক্রাইবার হতে হবে। আর এই অ্যাপ ব্যাবহারের বাকি সব নিয়ম আগের মতই।
LOOKOUT এর ওয়েবসাইটেও যান। এটি ব্যাবহার করেই আপনাকে আপনার ফোনটি খুজতে হবে।
AirDroid ব্যাবহার করা
Airdroid ফোন খুজে পাওয়ার অ্যাপগুলোর মধ্যে আরেকটি ভালো বিকল্প। এখানেও, দূরনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে লক করা, স্থান সনাক্ত করা, তথ্য মোছা, অ্যালার্ম সিস্টেম, ছবি তুলে মেইল করার মত সুবিধাগুলো আছে। তবে এর বাইরেও আরো কিছু সুবিধা যোগ করা আছে এতে।
আপনি যদি আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনের তথ্য গুলো মোছার আগে নিজের কাছে কপি করে রাখতে চান, সে সুবিধা পাবেন এখানে। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি সব তথ্য ট্রান্সফার করতে পারবেন।
আপনি আপনার মোবাইলের সাম্নের বা পেছনের যেকোনো ক্যামেরা চালু করে যে এখন মোবাইলটি ব্যাবহার করছে তার ছবি তুলতে পারবেন। ব্যাবহারকারি তা টেরও পাবেনা। আপনি ফোনের কল লগ গুলো বা মেসেজ গুলো দেখতে পারবেন।
আপনার মোবাইলটি যদি আপনার ল্যাপটপের বা কম্পিউটারের সাথে একই ল্যান সংযোগে থাকে তবে আপনি অ্যাপটি বিনামুল্যে ব্যাবহার করতে পারবেন।
এর বাইরে হলে আপনাকে মাসে ১.৯৯ ডলার বা বছরে ২০ ডলার ব্যয় করতে হবে অ্যাপটি ব্যাবহার করতে। তবে বিনামুল্যের অ্যাকাউন্টটি আপনাকে মাসে ১০০ মেগাবাইটের বেশী ডাটা ট্রান্সফার করতে দিবে না। আসলে অ্যাপটি সম্পূর্ণ কার্যকরভাবে ব্যাবহার করতে আপনাকে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবারই হতে হবে।
কোনটি বেছে নিবেন??
এতগুলো অপশন দেখে কি গুলিয়ে ফেলছেন যে কোনটা ব্যাবহার করবেন? পারলে সবগুলোই ব্যাবহার করুন। নাহলে অন্তত দুটি ব্যাবহার করার চেষ্টা করুন। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ব্যাবহার করাটা একটু সহজ কারন এটা আগে থেকেই আপনার ডিভাইসে ইন্সটল করা থাকে। তাই বলে অন্যগুলো ব্যাবহার করা মোটেই কঠিন নয়।
আর LOOKOUT বা AirDroid এর প্রিমিয়াম ভার্সনের অতিরিক্ত ফিচারগুলো অবশ্যই আপনাকে কাছে টানবে যেগুলো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারে পাওয়া যায়না। আপনি কোনটি ব্যাবহার করবেন সেটা একান্তই আপনার ইচ্ছা আর প্রয়োজনের উপর নিরভর করবে। তবে যেকোনো একটি বেছে নিতে হলে আমি AirDroid ই বেছে নিতাম।
তবে হ্যাঁ, আপনার ফোনটি যে হাতিয়ে নিয়েছে সে যদি আপনার ফোনে ফ্যাক্টরি রিসেট করে ফেলে, তখন কিন্তু উপরের কোন পদ্ধতিই আর কাজে আসবেনা।
এতক্ষনতো গেলো আপনার ফোনটি হারিয়ে গেলে আপনি কি করবেন বা আগে থেকে কি করে রাখতে হবে তা জানা। কিন্তু ব্যাপারটি যদি আপনার সাথে না হয়ে অন্য কারও সাথে ঘটে। যার উপরের বিষয়গুলোতে কোন ধারনাই ছিলনা? সেক্ষেত্রে কি করণীয়?? ওই ফোনগুলো ফিরে পেতে বা তথ্য গোপন সর্বশেষ চেষ্টা হিসাবে নিচে উল্লেখ করা পদ্ধতিতে চেষ্টা করে দেখতে পারেন…
এছাড়া আরও অনেক কিছুই এই অ্যাপ দিয়ে করা যাবে। এর ইউজার ইন্টারফেসটা একটু বিদঘুটে হলেও, এটি খুব কার্যকর একটি অ্যাপ।
আর প্ল্যান বি হিসাবে ব্যাবহার করার মত আর কিছু আছে বলে মনে হয় না।
ভালবাসা ও বর্তমান যুবসমাজ!
ভালবাসা আসলেই একটা দামি জিনিস। এটা ভোগ করা সবার সাদ্ধের ব্যাপার নয়। এটা অনেকটা দামি শো-পিচ এর মতই। যাদের পকেট এ টাকা আছে ভালবাসা শুধু তাদের জন্যই। পকেট এ টাকা না থাকলে ভালবাসাটা বিলাসিতার পর্যায়ে পরে। আমার এত বিলাসি জীবনযাপন করা সম্ভব নয় কারণ আমি ভাল করেই জানি টাকা না থাকলে ভালবাসা ঘরের জানালা দিয়ে পালাই।
আমাদের সমাজে আজকাল এই বিলাসিতা অনেকটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে আমি সেই যুবক-যুবতিদের কথা বলব যারা স্কুল ও কলেজ এ পরে। তারা ভালবাসা বলে যেই অনুভুতি কে আখ্যা দেই তা আসলে ভালবাসা নই বরং সেটা হল লোক দেখানো বিলাসিতা।
যুব সমাজ আজ একসাথে ঘুরা, খাবার খাওয়া, উপহার দেওয়া, ইত্যাদি করাকেই ভালবাসা মনে করে। তারা ভালবাসার মুল অর্থকেই উপলুব্ধি করতে পারে না।
ভালবাসা হল সৃষ্টিকর্তার দেওয়া একটি পবিত্র উপহার সমগ্র মানবজাতির জন্য কিন্তু আমরা এই উপহার এর পবিত্রতা কতটাই বজাই রাখতে পেরেছি??? আজকাল এই লোক দেখানো ভালবাসায় সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত এই পবিত্র উপহারটির অপমান হয়েই চলেছে।
আমরা এখন কেউ আসলে ভালবাসার প্রকৃত অর্থ বুঝতে চাই না। আমরা লোক দেখানো এসব কাজ করতে করতে ভুলেই গেছি যে ভালবাসা অর্থ একসাথে ঘুরতে যাওয়া নয়, নয় একসাথে খাওয়া বা উপহার আদান-প্রদান করা বরং ভালবাসা অর্থ হচ্ছে একে অন্যর সাথে পাশে থেকে তাদের সুখ ও দুঃখের মুহূর্তগুলো ভাগাভাগি করে নেওয়া, নিজেদের মধ্যে খাবার ভাগাভাগি করে ক্ষুধা নিবারণ করা, মৌলিক প্রয়োজনগুলো নিবারণ করার চেষ্টা করা।
আজকালকার ছেলে-মেয়েদের এই ভালবাসা দেখলে আমার দুঃখ হয় যে এই সব ছেলে-মেয়ে এই কচি বয়সে ভালবাসার নামে যে সব কাজ করে তা তারা কেন করে তা তারা নিজেরাও হইত জানে না। হইত বন্ধু-বান্ধবের পরামর্শে বা পশ্চিমা দেশগুলোর অপসংস্কৃতিতে আকৃষ্ট হয়ে তারা এসব করে।
একটি জরিপ এ দেখাগেছে আজকাল যেসব যুবক-যুবতি প্রেম করে তাদের মধ্যে শতকরা ৯৮ ভাগ ছেলে-মেয়ে ভালবাসার সঠিক অর্থ বুঝবার জন্য মানসিক ভাবে উপর্যুক্ত নয়।
একটি সামান্য উদাহরণ তুলে ধরলাম আপনাদের সামনে, একটি স্কুল বা কলেজ এ পড়া মেয়ে যখন তার প্রেমিক এর সাথে ঘুরতে যাই বা কোন দামি রেস্তোরাঁই খেতে যাই বা তার দেয়া উপহার আনন্দের সহিত গ্রহন করে তখন সেই মেয়েটি কি একবারও চিন্তা করে যে তার প্রেমিক তার জন্য খরচ করার জন্য কোথাই টাকা পাই। আনন্দে সে ভুলেই যাই যে তার প্রেমিক এখনও তার বাবা-মার টাকা দিয়ে জীবনযাপন করে। তার প্রেমিক হইত তার জন্য খরচ করার জন্য বাবা-মার কাছে মিথ্যা বলে টাকা আদাই করে বা বাবা-মার টাকার ব্যাগ থেকে টাকা চুরি করে, হইতবা টাকার জন্য নানা অনৈতিক কাজের সাথে জরিয়ে পরে। এই ধরনের মেয়েদের মস্তিষ্ক ভালবাসার সঠিক অর্থ বুঝবার জন্য উপর্যুক্ত নয় বিধাই এসব ঘটনা ঘটেই চলেছে।
আজকাল আবার এযুগের ছেলে-মেয়েরা ভালবাসা কে একটি অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। তারা পশ্চিমাদের নকল করতে শুরু করেছে। তারা মনে করে একটি ছেলে আর মেয়ের মধ্যে যদি শারীরিক সম্পর্ক না করা হয় তবে সেই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হই না।
তারা জানবার চেষ্টাই করে না যে শারীরিক মিলন কখনও ভালবাসা নয় বরং তা হল জৈবিক চাহিদা পূরণ করার একটি মাধ্যম মাত্র। ভালবাসা মানে যে দুটি আত্মার মিলন এই কথাটি আজ চাপা পরে গেছে এই পশ্চিমাদের অনুকরনের মাধ্যমে। তারা যেটাকে ভালবাসা বলে আমি এটাকে সত্যিকার ভালবাসার আশেপাশে ও দেখি না কারন বর্তমান যুগের ভালবাসাগুলো হল ফ্যাশন।
আজকাল আবার দেখা যায় একটি ছেলে বা মেয়ের একাধিক জনের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। তারা এসবকে ফ্যাশন মনে করে। যখন ইচ্ছা হয় প্রেমিক-প্রেমিকা কে ছেরে দেয় আবার নতুন কারো সাথে সম্পর্ক তৈরি করে আবার ইচ্ছা হলে তা ভেঙ্গে ফেলে।
আমার কথা শুনে অনেকেরই মনে হতে পারে আমি ভালবাসার বিরুদ্ধে। আমার প্রতি তাদের ক্ষোভ জন্মাতেই পারে বা তারা আমার প্রতিবাদ করতেই পারে। তাদের উদ্দেশে আমি বলব যে ভালবাসা বা প্রেম এর বিরুদ্ধে আমি কখনই নই। আমি কেবল মাত্র ওইসকল ভালবাসার বিরুদ্ধে যাতে প্রেমিক-প্রেমিকা বাবা-মার গলায় টাকার ছুরি ধরে প্রেম করে বেড়াই। এইসব নামে মাত্র ভালবাসাকে আমি ধিক্কার জানাই।
নিজের যোগ্যতা দিয়ে অর্থ উপার্জন করে তা যদি প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য ব্যয় করা হয় তবে তাতে আমার কোন আপত্তি নেই কিন্তু সবার প্রতি আমার একটাই আহবান হল সব সময় প্রেমিক-প্রেমিকার চাইতে বাবা-মাকে প্রাধান্য দিন কারন বাবা-মা আপনাকে নিরস্বার্থ ভাবে ভালবাসে তাই এই ভালবাসাই হল পৃথিবীর সবচাইতে শ্রেষ্ঠ ভালবাসা।
কুরআনুল কারিম ও সহীহ হাদিসের আলোকে রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব
কুরআনুল কারিম ও সহীহ হাদিসের আলোকে রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব।
রমজানের রোজা হচ্ছে ইবাদতের মাঝে ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম। ঈমান, সালাত ও জাকাতের পরই রোজার স্থান। রোজার আরবি শব্দ সাওম, যার আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা। সাওম হলো, প্রত্যেক সন্তান, বালেগ মুসলমান নর-নারীকে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজার নিয়তে পনাহার, স্ত্রী সহবাস ও রোজা ভঙ্গকারী সকল কাজ থেকে বিরত থাকা।
সুতরাং রমজান মাসের চাঁদ উদিত হলেই প্রত্যেক সুস্থ, প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ এবং হায়েজ নেফাজমুক্ত (মাসিক ও সন্তান হওয়ার পরে রক্তস্রাব) প্রাপ্ত বয়স্কা নারীর ওপর রোজা রাখা ফরজ।
এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যেন তোমরা মুত্তাকি হতে পার।’ (সূরা বাকারা-১৮৩)
অন্য আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন, ‘সুতরাং তোমাদের মাঝে যে ব্যক্তিই এ মাস পাবে সে যেন রোজা রাখে। (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৫)।
সুতরাং রমজান মাসে সাওম পালন করা ফরজে আইন।
কোনো মুসলমান যদি রমজান মাসের একটি রোজাও ইচ্ছাকৃতভাবে পরিত্যাগ করে, তাহলে সে বড় গুনাহগার ও জঘণ্য অপরাধী হিসেবে গণ্য হবে। দ্বীনের মৌলিক বিধান লঙ্ঘনকারী ও ঈমান-ইসলামের খেয়ানতকারী হিসেবে পরিগণিত হবে।
ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ত্যাগকারী ও ভঙ্গকারীদের জন্য হাদিস শরিফে কঠিন শাস্তির কথা রয়েছে।
হযরত আবু উমামা (রাঃ) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহকে (সাঃ) বলতে শুনেছি, তিনি বলেন,, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। স্বপ্নে দেখলাম আমার কাছে দুইজন ব্যক্তি আগমন করলেন। তারা বাহু ধরে আমাকে এক দূর্গম পাহাড়ে নিয়ে এল। এরপর আমাকে বললেন, আপনি পাহাড়ের উপরে উঠুন। আমি বললাম, আমি উঠতে পারবো না। তারা বললো, আমরা আপনাকে সাহায্য করবো। আমি উপরে উঠলাম। যখন আমি পাহাড়ের সমতল ভূমিতে পৌঁছালাম, হঠাৎ ভয়ংকর আওয়াজ শুনতে পেলাম। আমি তাদের জিজ্ঞেস করলাম, এটা কিসের আওয়াজ? তারা বললেন, এটা জাহান্নামীদের আর্তনাদ। তারা আমাকে নিয়ে এগিযে চলল। হঠাৎ কিছুলোক দেখতে পেলাম, তাদের মাংসপেশী দ্বারা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এবং তাদের মুখের দুই প্রান্ত ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। তা থেকে তাদের রক্ত ঝরছে। আমি বললাম, এরা কারা? তারা বলল, যারা ইফতারের পূর্বেই রোজা ভেঙ্গে ফেলতো তারা এরা।
১. সহীহ ইবনে খুযাইমা ১৯৮৬
২. সহীহ ইমনে হিব্বান ৭৪৪৮
৩. মুস্তাদরাকে হাকিম ১৬০৯
রমজান মাসের একদিন রোজা না রাখলে মানুষ যে শুধু গুনাহগার হবেন তা নয়, বরং এ রোজার পরিবর্তে সারা জীবন রোজা রাখলেও এর যথার্থ ক্ষতিপূরণ আদায় হবে না।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ বলেন, যে ব্যক্তি অসুস্থতা ও সফর ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে রমজানে একটি রোজাও ভঙ্গ করে, তিনি আজীবন রোজ রাখলেও এ রোজার হক আদায় হবে না।
১. মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইরা ৯৮৯৩
২. মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৭৪৭৬
৩. সহীহ বুখারি ৪/১৫০
হাদিসের আলোকে রোজার কিছু ফজিলত
১. রোজার প্রতিদান আল্লাহপাক নিজেই দেবেন এবং বিনা হিসাবে
প্রত্যেক নেক আমলের নির্ধারিত সওয়াব ও প্রতিদান রয়েছে যার মাধ্যমে আল্লাহ পাক আমলকারীকে পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু রোজার বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ রোজার বিষয়ে আছে আল্লাহর পক্ষ থেকে এক অনন্য ঘোষণা।
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, মানুষের প্রতিটি আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকির সওয়াব দশগুণ থেকে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত হতে পারে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, কিন্তু রোজার বিষয়টা আলাদা। কেননা তা আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করবো। বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে।
১. সহীহ মুসলিম ১১৫১
২. মুসনাদে আহমাদ ৯৭১৪
২ আল্লাহ তায়ালা রোজাদারদের কিয়ামতের দিন পানি পান করাবেন
হযরত আবু মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহ তায়ালা নিজের উপর অবধারিত করে দিয়েছেন যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য গ্রীষ্মকালে (রোজা রাখার কারণে) পিপাসার্ত থেকেছে, তিনি তাকে তৃষ্ণার দিন (কিয়ামতের দিন) পানি পান করাবেন।
৩ রোজা জান্নাত লাভে পথ
হযরত আবু ওমামা রাঃ হতে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ’র (সাঃ) দরবারে গিয়ে বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ, আমাকে এমন একটি আমল বলে দিন যার দ্বারা আমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি।
রাসুলুল্লাহ বললেন, তুমি রোজা রাখ। কেননা এর সমতুল্য কিছু নেই। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম। রাসুল (সাঃ) জবাব দিলেন, তুমি রোজা রাখ। (মুসনাদে আহমাদ ২২১৪৯)
৪ রোজাদার বেহেস্তে প্রবেশ করবে রাইয়ান নামক বিশেষ দরজা দিয়ে
হযরত সাহল ইবনে সা’দ রাঃ হতে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেছেন, জান্নাতে একটি দরজা আছে যার নাম রাইয়ান। কিয়ামতের দিন এ দরজা দিয়ে কেবল রোজাদারগণ প্রবেশ করবেন। অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা করা হবে কোথায় সেই সৌভাগ্যবান রোজাদারগণ? তখন তারা উঠে দাঁড়াবে। তারা ব্যতীত কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অতঃপর রোজাদারগণ যখন প্রবেশ করবে, তখন তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।
১. সহীহ মুসলিম ১১৫২
২. মুসনাদে আহমাদ ২২৮১৮
৫. রোজা জাহান্নাম থেকে রক্ষাকারী ঢাল ও দুর্গ
হযরত জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, রোজা হলো (জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ লাভের) ঢাল ও সুরক্ষিত দূর্গ। (মুসনাদে আহমাদ ৯২২৫)
৬ রোজ কিয়ামতের দিন সুপারিশ করবে
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, রোজা ও কুরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে রব, আমি তাকে খাদ্য ও যৌন সম্ভোগ থেকে বিরত রেখেছি। অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। কুরআন বলবে, আমি তাকে রাতের ঘুম থেকে বিরত রেখেছি। অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন।
রাসুল (সাঃ) বলেন, অতঃপর তাদের উভয়ের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। (মুসনাদে আহমাদ ৬৬২৬)
৭ রোজাদারের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমজান মাসের রোজা রাখে তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহীহ বুখারি ২০১৪)
৮ রোজাদারের মুখের গন্ধ মিশকের চেয়েও সুগন্ধিযুক্ত
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, শপথ সেই সত্ত্বার যার হাতে রয়েছে মুহাম্মদের প্রাণ, রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহতায়ালার কাছে মিশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিক সুগন্ধিময়। (সহীহ বুখারি ১৯০৪)
৯ রোজাদারের দুটি আনন্দের মুহূর্ত
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ বর্ণিত, নবীজী (সাঃ) বলেছেন, রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে। যখন সে আনন্দিত হবে-
এক. ইফতারের সময়। তখন সে ইফতারের কারণে আনন্দ পায়।
দুই. যখন সে তার রবের সঙ্গে সাক্ষাত লাভ করবে তখন তার আনন্দ হবে।
অপর এক বর্ণনায় এসেছে, যখন তার প্রতিপালক রোজার পুরস্কার দিবেন। (সহীহ মুসলিম ১১৫১)
১০ রোজাদারের দুয়া কবুল হয়
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী (সাঃ) ইরশাদ করেন, ইফতারের সময় রোজাদার যখন দুয়া করেন তখন তার দুয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। (অর্থাৎ দুয়া কুবল কর হয়) (সুনানে ইবনে মাজাই ১৭৫৩)
আরও অসংখ সহীহ হাদিসে রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। রমজান হলো ইবাদতের মৌসুম। বলা যায়, বসন্ত এসেছে, কেউ কি আছে এতে আমল করবে?
আল্লাহ আমাদের সকলকে হাদিস ও সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুক। আমিন ইয়া রাব্বুল আলামিন।
জেনে নিন চুল পড়া বন্ধের সহজ কিছু উপায়!
জেনে নিন চুল পড়া বন্ধের সহজ কিছু উপায়!
চুল পড়ে যাওয়া সবার কাছেই বিব্রতকর ও যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপার ।চুল পড়া বর্তমান সময়ের নারী ও পুরুষের একটি খুব সাধারণ কিন্তু ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। তবে এটা যে কেবল নারীদের সমস্যা তা নয়। অল্প বয়সে মাথার চুল পড়ে যাওয়া ছেলেদের জন্য ভীষণ দুশ্চিন্তার একটি কারণ।অনেকেরই এই নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
প্রতিদিন গড়ে ১০০টা করে চুল পরা শরীরের একটি স্বাভাবিক ক্রিয়া। কিন্ত যদি এর বেশি চুল পরে তাহলে তা সত্যিই চিন্তার বিষয়।এটি রোধ করার জন্য অনেকেই অনেক পন্থা অবলম্বন করে। চুল পরার কারন গুলো হল -মানসিক চাপ,হরমোনাল পরিবর্তন,অসুখের কারণে চুল পড়া,রেডিওথেরাপি পর,আয়রনের অভাব, অ্যান্টিবায়োটিকের কারনে,বংশগত কারন,গর্ভবস্থায় অনেক সময় চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়,চুলে তেল ব্যবহার না করা,আমিষের অভাবে অনেক সময় চুল পরে,পানি পর্যাপ্ত পরিমাণ না খাওয়া ইত্যাদি।চুল পড়া সমস্যা সমাধানে কিছু ঘরোয়া উপায় দেয়া হল- জেনে নিন কিছু
i)পেঁয়াজের রস:- চুলের গোঁড়ায় পেঁয়াজের রস লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং নতুন চুল গজায়।পেঁয়াজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে, যা চুল লম্বা হতে এবং কোলাজেন উৎপন্ন করতে সাহায্য করে।ব্যবহার বিধি- একটি পেঁয়াজ কেটে তার ভেতর থেকে রস বের করে নিতে হবে। এবার সেই রস মাথায় ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে এবং চুল শুকিয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে দুইবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
ii)আমলকী:- চুল ঝরার সমস্যায় এটির মত উপকারি প্যাক আর নেই।আমলকীতে আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি যা চুলপড়া কমায়, চুলের অকাল পক্কতা রোধ করে।যাদের এ সমস্যা আছে, তাদের জন্য আমলকীর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।ব্যবহার বিধি- আমলকী কাঁচা বা সেদ্ধ ব্লেণ্ড করে করে নিন। মেথি আগের দিন রাতে মেথি ভিজিয়ে রাখবেন। সকালে মেথির পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এতে সিকাকাই দিন। ভালো করে সব উপাদান মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানান।এটি চুলে লাগিয়ে রাখুন আধঘণ্টা।তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুদিন করুন।
iii)জবা ফুল:- জবা ফুল চুলের জন্য দারুণ উপকারি।জবা ফুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ,সি ,নারিকেল তেলের সঙ্গে জবা ফুলের তেল মিশিয়ে প্রতিদিন চুলে লাগান। দেখবেন অল্প দিনেই আপনার চুলের গোড়া শক্ত ও চুল পড়া বন্ধ হবে।এটি চুলকে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে, চুল সাদা হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। এমনকি,এবং চুল পড়ে যাওয়া বন্ধ করে।ব্যবহার বিধি- কয়েকটি জবা ফুলের সঙ্গে তিলের তেল এবং নারকেল তেল মিশিয়ে বেঁটে নিতে হবে।চুলের গোঁড়ায় ভাল করে লাগাতে হবে। কয়েক ঘণ্টা চুলে রেখে দিতে হবে। এরপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
iv)জিঙ্ক ও আয়রন গ্রহণ:- চুল পড়া বন্ধ করতে জিঙ্ক আর আয়রন বেশী বেশী গ্রহণ করুন। যেমন মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, দুধে আপনার প্রয়োজনীয় জিংক আর আয়রন বিদ্যমান। আপনি আপনার খাবার তালিকায় এই খাবারগুলো রাখতে ভুলবেন না।
v)ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ:- ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণের ফলে রক্ত দূষিত হয় ও মাথার ত্বকে সঠিক পরিমাণে রক্ত সরবরাহ না হওয়ায় মাথার চুল পড়ে যেতে দেখা যায়। তাই সবার আগে ধূমপান আর অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
vi)অতিরিক্ত চিন্তা:- চুল পড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হল অতিরিক্ত চিন্তা করা ও মানসিক অবসাদে ভোগা।
বজ্রপাত থেকে রক্ষায় করনীয়!
ঢাকা: রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আকাশে জমেছে বজ্রমেঘ। বজ্রঝড়ে ঘটছে প্রাণহানি। শুধুমাত্র রোববারই (২৯ এপ্রিল) বজ্রপাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে হঠাৎ করে বজ্রপাত বেড়ে যাওয়ায় এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া প্রাণহানি থেকে রক্ষায় সতর্কতামূলক পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
সারাবিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়েছে এবং বজ্রপাতের ঘটনা ঘটছে। তবে বজ্রপাতের পূর্বাভাস ছয় ঘণ্টা আগে আবহাওয়ার তথ্যে পাওয়া যাবে। এছাড়া ‘১০৯৪১’ নম্বরে কল করে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বজ্রপাতের তথ্য পাওয়া যাবে।
২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেইবার বজ্রপাতে ১৭ জন প্রাণ হারান।
সম্প্রতি বজ্রপাতে ব্যাপক প্রাণহানির মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং আবহাওয়া অধিদফতর বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে।
বজ্রপাত থেকে রক্ষার নিরাপত্তা টিপস। ছবি: আবহাওয়া অধিদপ্তরের সৌজন্যে
বজ্রপাতে করণীয়:
>> আকাশে ঘনকালো মেঘ দেখা দিলে বজ্রপাতের আশংকা তৈরি হয়। ৩০-৪৫ মিনিট বজ্রপাত স্থায়ী হয়, এ সময়ে ঘরে অবস্থান করাই শ্রেয়।
>> ঘনকালো মেঘ দেখা দিলে খুব প্রয়োজন হলে রাবারের জুতা পায়ে বাইরে যাওয়া যেতে পারে।
>> বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, খোলা মাঠ বা উঁচু স্থানে থাকবেন না।
>> এ সময়ে ধানক্ষেত বা খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি হাঁটু গেড়ে, কানে আঙুল দিয়ে, মাথা নিচু করে বসে পড়ুন।
>> যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। টিনের চালা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।
>> উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক তার বা ধাতব খুঁটি, মোবাইল টাওয়ার থেকে দূরে থাকুন।
>> বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতরে অবস্থান করলে গাড়ির ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ ঘটাবেন না। সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
>> বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় থাকবেন না।
>> বাড়ির জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভিতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।
>> মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ল্যান্ডফোন, টিভি, ফ্রিজসহ সব বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং এগুলো বন্ধ রাখুন।
>> এ সময়ে ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনে প্লাস্টিকের অথবা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করতে পারেন।
>> খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত থাকুন।
>> বজ্রপাতের সময় ছাউনিবিহীন নৌকায় মাছ ধরতে যাবেন না, তবে এ সময় নদীতে থাকলে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।
>> বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।
>> প্রতিটি ভবনে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন।
উচ্চতা অনুযায়ী আপনার সঠিক ওজন কত, কতটুকু কম হলে আপনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ!
উচ্চতা অনুযায়ী আপনার সঠিক ওজন কত, কতটুকু কম হলে আপনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ
উচ্চতা অনুযায়ী আপনার সঠিক ওজন কত, কতটুকু কম হলে আপনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ- ওজন নিয়ে আমাদের সকলের মাথা ব্যথা। ওজন বাড়লেও সমস্যা আবার ওজন কম হলেও সমস্যা। চিকিৎসকরাও গুরুত্ব দেন ওজনের ওপরে।
মোটা রোগার থেকে শরীর সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল সঠিক ওজন। আমরা না জেনেই শারীরিক গঠন রোগা না মোটা সেই অনুযায়ী ওজন বাড়ানোর বা কমানোর চেষ্টা করি। আর তাতেই সমস্যা হয় শরীরে।
তাই আমাদের জেনে রাখা দরকার কোন শারীরিক উচ্চতায় কোন ওজন সঠিক? আদর্শ ওজন নির্ণয়ের পদ্ধতিতে একজন ব্যক্তির ওজন কিলোগ্রামে মাপা হয় এবং উচ্চতা মিটারে মাপা হয়।
এবার ওজনকে উচ্চতার বর্গফল দিয়ে ভাগ করা হয়। এই ভাগফলকে বলে বিএমআই। বিএমআই ১৮ থেকে ২৪-এর মধ্যে হলে স্বাভাবিক।
২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে হলে স্বাস্থ্যবান বা অল্প মোটা, ৩০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে হলে বেশি মোটা। আর ৩৫-এর ওপরে হলে অত্যন্ত ও অসুস্থ পর্যায়ের মোটা বলা যেতে পারে।
তাহলে জেনে নিন আপনার ওজন আপনার উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক তো?
উচ্চতা ——পুরুষ (কেজি) —- নারী (কেজি)
►৪’৭” —— ৩৯-৪৯ —– ৩৬-৪৬
►৪’৮” —— ৪১-৫০ —– ৩৮-৪৮
►৪’৯” —— ৪২-৫২ —– ৩৯–৫০
►৪’১০” —— ৪৪-৫৪ —– ৪১–৫২
►৪’১১” —— ৪৫-৫৬ —– ৪২-৫৩
►৫ফিট —— ৪৭-৫৮ —– ৪৩-৫৫
►৫’১” —— ৪৮-৬০ —– ৪৫-৫৭
►৫’২” —— ৫০-৬২ —– ৪৬-৫৯
►৫’৩” —— ৫১-৬৪ —– ৪৮-৬১
►৫’৪” —— ৫৩-৬৬ —– ৪৯-৬৩
►৫’৫” —— ৫৫-৬৮ —– ৫১-৬৫
►৫’৬” —— ৫৬-৭০ —– ৫৩-৬৭
►৫’৭” —— ৫৮-৭২ —– ৫৪-৬৯
► ৫’৮” —— ৬০-৭৪ —– ৫৬-৭১
► ৫’৯” —— ৬২-৭৬ —– ৫৭-৭১
►৫’১০” —— ৬৪-৭৯ —– ৫৯-৭৫
►৫’১১” —— ৬৫-৮১ —– ৬১-৭৭
►৬ ফিট —— ৬৭-৮৩ —– ৬৩-৮০
►৬’১” —— ৬৯-৮৬ —– ৬৫-৮২
►৬’২” —— ৭১-৮৮ —– ৬৭-৮৪
অ্যানথ্রাক্স : লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধে করণীয়!
অ্যানথ্রাক্স : লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধে করণীয়
অ্যানথ্রাক্স গবাদিপশুর একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ যা ব্যাসিলাস অ্যান্থ্রাসিস (Bacillus anthracis) নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। ব্যাসিলাস অ্যান্থ্রাসিস ব্যাকটেরিয়া সুপ্ত অবস্থায় দীর্ঘদিন (শতাব্দীর পর শতাব্দী) বেঁচে থাকতে পারে। গবাদিপশু থেকে এ রোগ মানুষেও ছড়াতে পারে। নিঃশ্বাসের সাথে, ত্বকের ক্ষত দিয়ে, কিংবা খাদ্যের মাধ্যমে এই জীবাণুর স্পোর দেহে প্রবেশ করে পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠে এবং দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে।
একটি সুস্থ্য গরু হঠাৎ করে মারা গেলে এর কারন অ্যানথ্রাক্স হতে পারে। সাধারনত রোগের লক্ষণ প্রকাশের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই গরু মারা যায় আবার অনেকক্ষেত্রে লক্ষণ প্রকাশের সাথে সাথেই গরুটি মারা যেতে পারে। অ্যানথ্রাক্স রোগটি ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ার অসংখ্য রেকর্ড আছে। সর্বশেষ ১৯৭৮-৮০ সালে জিম্বাবুয়েতে ব্যাপক হারে এ রোগটি ছড়িয়ে পড়েছিল। এতে প্রায় দশ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয় এবং ১৫১ জন মারা যায়।
কিভাবে ছড়ায়
এ রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় গরু। তবে ছাগল, ভেড়া, মহিষ, ঘোড়া, জেব্রা, জিরাফ, হরিণ, শূকর, হাতি কিংবা বানরও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এসব প্রাণী থেকে মানুষে এ রোগটি ছড়াতে পারে। সাধারণত বন্য এবং গৃহপালিত তৃণভোজী স্তন্যপায়ী প্রাণী অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়। এ সকল প্রাণী ঘাস খাওয়ার সময় বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাহায্যে জীবাণুর স্পোর গ্রহন করে এবং অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়। মাংসাশী প্রাণীর ক্ষেত্রে, একইভাবে অথবা আক্রান্ত প্রাণী খাওয়ার ফলে অ্যানথ্রাক্স হতে পারে। আবার আক্রান্ত প্রাণীর সংস্পর্ষে অথবা আক্রান্ত প্রাণীর মাংস খাওয়ার ফলে অ্যানথ্রাক্স মানুষের শরীরেও সংক্রমণ হতে পারে।
মৃত বা আক্রান্ত পশুর চুল, পশম, রক্ত, লালা বা অন্যান্য মাধ্যমেও এ রোগ ছড়াতে পারে। আবার মৃত পশু পচে যাওয়ার দীর্ঘদিন পরেও হাড় থেকে এ রোগের জীবাণু ছড়াতে পারে।
ট্যানারি থেকে নির্গত বর্জ্যের সঠিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকলে অথবা অ্যানথ্রাক্সে মৃত গরুর চামড়া থেকে জীবাণু সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সাধারনত অ্যানথ্রাক্স এক পশু বা ব্যক্তির থেকে অন্য পশু বা ব্যক্তির শরীরে ছড়ায় না, এটি স্পোরের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত জীবের মৃতদেহের মাধ্যমে অ্যানথ্রাক্স স্পোর ছড়াতে পারে।
ফেসবুকে আপনার প্রোফাইল কারা ভিজিট করছে দেখে নিন!
ফেসবুকে আপনার প্রোফাইল কারা ভিজিট করেছেন, তা জানতে ইচ্ছে করে না?
আমাদের সম্পর্কে অনলাইন দুনিয়ায় কার কার আগ্রহ রয়েছে, তা জানার আগ্রহ প্রায় আমাদের সবারই।
ফেসবুকেরও আগে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এর দুনিয়ায় ঝড় তোলা অর্কুট-এ 'রিসেন্ট ভিজিটর' অপশন ছিল।
সেখান থেকে সহজেই জানতে পারতেন, কারা আপনার প্রোফাইল নেড়েচেড়ে দেখছে। ফেসবুক কখনোই এরকম কোনও অপশন রাখেনি। অর্কুটও এখন অতীত। তবু সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এ কারা আপনার সম্পর্কে আগ্রহী, তা জানতে পারবেন সহজেই। সেই উপায়ই আপনাদের বাতলাবো এখানে।
কয়েকটা সহজ স্টেপ ফলো করে জেনে নিন ফেসবুকে আপনার প্রোফাইল সম্প্রতি কারা ভিজিট করেছেন।
* প্রথমে ফেসবুকে লগইন করুন।
* টাইমলাইনে রাইট ক্লিক করুন। 'view page source'সিলেক্ট করুন।
* কোডে ভরা একটা পেজ খুলবে। বিভ্রান্ত হবেন না। আপনি ঠিক পথেই এগোচ্ছেন।
* কিবোর্ডে CTRL+F প্রেস করুন।
* পেজের ডান দিকে যে সার্চ বক্স খুলবে সেখানে টাইপ করুন InitialChatFriendsList
* InitialChatFriendsList-এর পাশে নম্বরের একটা তালিকা দেখতে পাবেন।
* যারা আপনার টাইমলাইন ভিজিট করেছেন, তাঁদের আইডি-র তালিকা আসবে।
* এরাই যে আপনার টাইমলাইন ভিজিট করেছে, তা নিশ্চিত করতে অ্যাড্রেস বারে টাইপ করুন :
facebook.com/তারপরে আইডি। এন্টার মারলেই আপনার ভিজিটরের পেজে ল্যান্ড করবেন।