নাসার টেলিস্কোপে ধরা পড়ল ঈশ্বরের হাত ।

বন্ধুরা আমি আগেই বলে রাখি এটা সম্পূর্ণ কপি পেস্ট একটি পোস্ট আমি নিজে লিখিনি । ইন্ডিয়ার জনপ্রিয় নিউজ সাইট এ পোস্ট টি দেখেলাম । তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি । অ্যাডমিন চাইলে কিছু দিন পর পোস্টটি ডিলিট করতে পারেন ।
প্রথম প্রকাশিত এখান 



নাসার নিউক্লিয়ার স্পেকট্রোস্কোপিক টেলিস্কোপ সারি বা NuSTAR -এর ক্ষমতার ঝলক দেখল দুনিয়া। একটি মৃত তারার মধ্যেকার শক্তির ছবি প্রকাশ করল। হাতের মত দেখতে “হ্যান্ড অফ গড“-নামের সেই ছবি এখন মাতাচ্ছে পৃথিবী।
১৯১২ সালের ১৩ জুন মহাকাশে NuSTAR কে ছাড়া হয়। উদ্দেশ্য ছিল এর মাধ্যমে ব্রহ্মান্ডের উচ্চ শক্তি সম্পন্ন এক্স রশ্মি দর্শন। আমাদের ছায়াপথ মিল্কিওয়ে ও অনান্য ছায়াপথে মধ্যে এটি ব্ল্যাক হোল, মৃত বা বিস্ফোরিত তারা এবং অনান্য জ্যোতিষ্কের উপর নজর রাখে NuSTAR।
“হ্যান্ড অফ গড“ আসলে একটি ১৭,০০০ আলোক বর্ষ দূরের একটি নীহারিকা যেটি একটি মৃত ও ঘূর্ণায়মান তারা PSR B1509, সংক্ষেপে B1509 দ্বারা সৃষ্ট।
মৃত তারাটির অবিশিষ্ট অংশের মধ্যে নিউক্লিয়ার এক্সপ্লোসান তৈরি হওয়ার ফলে তৈরি হয়েছিল তীব্র আলোকময় সুপারনোভা। তারাটি প্রকৃতপক্ষে একটি পালসারে পরিণত হয়েছিল। ১৯ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত এই পালসারটি প্রতি সেকেন্ডে সাতবার করে নিজের অক্ষের চারদিকে তীব্র গতিতে ঘুরছিল। এই সময় পালসারটি থেকে প্রচুর আলো, রশ্মি নির্গত হচ্ছিল। তার সঙ্গেই এমন কিছু পদার্থ বা কণা নির্গত হচ্ছিল যা একটি তারার মৃত্যুর সময় নির্গত হয়।
এই কণা গুলি নিজেদের মধ্যে একটি চৌম্বক ক্ষেত্রে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। তার ফলে প্রচুর আলোকজ্বল এক্স রশ্মি তৈরি হয়। এর ফলে এক্স রশ্মির দ্বারা নির্মিত মেঘ তৈরি করে। যেটিকে দেখতে হাতের মত। এই হাতের ছবিই উঠে এসেছে NuSTAR-এর ক্যামেরায়। এই ছবি কোনও অপটিক্যাল ইলিউশন কী না সে ব্যাপারেও সন্দিহান নন বিজ্ঞানীরা।
Share this article :
 
Copyright © 2025. নির্জন বাংলা - All Rights Reserved
Template Created by নির্জন বাংলা